### ভয়ংকর ছায়া 

### পর্বঃ ০৫

### জুনায়েত 


তুই আমার গায়ে হাত তুলেছিস!!!জানিস আমি কে?? তোর এতো বড় সাহস!!!??? আমি ত নীলার মুখে এমন কথা শুনে পুরা অবাক!!! কী বলছে নীলা এই সব!!!?? আমি নীলাকে বললাম কি বলছো এই সব নীলা?? তুমার কী মাথা খারাপ হয়েছে!!!? নীলা ওর এক হাতে আমাকে তুলে নিয়ে ছুড়ে মারলো!!! আমি গিয়ে দেয়ালের পাশে আচড়ে পরলাম!!! 

!!!

!!!

!!! 

আমি মেঝেতে পরে গড়া গড়ি খাচ্ছিলাম!!! আমি মেঝেতে শুয়ে ছিলাম !! নীলার আচার আচরণ সম্পূর্ন বদলে গেছে!!! কী ভয়ংকর ভাবে আওয়াজ করছিলো নীলা!!!আমার শরীর কাপতে থাকলো!!!আমি কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না!!! আমি মনে মনে আয়তুল কুরসি পড়তে শুরু করলাম!!!

!!!

!!!

!!!

নীলা নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করছিলো!!! আমি নীলার এমন আচরন দেখে স্তম্ভিত!!! প্রায় এক ঘন্টা পর নীলা অঙ্গেন হয়ে গেলো!!! আমি নীলার কাছে দৌড়ে গেলাম!!! আর নীলাকে ডাকতে থাকলাম নীলা নীলা কী হলো তুমার কথা বলো!!?? নীলা কোন কথা বলছে না!! তারা তারি আমি নীলাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এলাম!!! নীলাকে হাসপাতালে ভর্তি করলাম!!!

!!!

!!!

!!!

ডাক্তার ১ ঘন্টা পর জানালো নীলার জ্ঞান ফিরেছে!!! আর নীলা নাকি আমাকে খুজছে!!! আমি তারা তারি নীলার কাছে গেলাম!!! নীলা আমাকে জিজ্ঞেস করলো সে এখানে কেন এসেছে??? তার মানে নীলার কিছুই মনে নেই!!! আমি নীলাকে মিথ্যা কথা বললাম!!! আমি ওকে বললাম তুমি সিড়ি থেকে পরে গিয়ে অঙ্গেন হয়ে গিয়েছিলে তাই তুমাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি!!!

!!!

!!!

!!!

আমি বুঝতে পারছি না!!! আমাদের সাথে এসব কী হচ্ছে??? এসব কেন ই বা হচ্ছে?? নীলা আমাকে বললো তুমি বাড়ি চলে যাও!! বাড়িতে অনেক টাকা পয়সা ছিলো!!! তাই আমি নীলাকে হাসপাতালে রেখে বাড়ি চলে এলাম!!! আমি খাওয়া দাওয়া করে আমার রোমে শুয়ে ছিলাম!!! মধ্য রাতে কারো চিৎকার এ আমার ঘুম ভাঙ্গলো!! আমাদের পুরো বাড়িতে কেউ একজন তান্ডব চালাচ্ছে!! 

!!!

!!!

!!!

পুরো ঘরের জিনিস পত্র ছুড়ে ফেলছে আর কেউ চিৎকার করে করে নীলার নাম নিচ্ছে!!! আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম!!! আমি মনে মনে দোয়া পড়তে শুরু করলাম!!! রাতটা কোন ভাবে কেটে গেলো!!!পরের দিন সকাল বেলা আমি নীলাকে হাসপাতাল থেকে আনার আগে হুজুরের সাথে কথা বললাম এই সব নিয়ে!!! হুজুর আমাকে একটা তাবিজ আর কিছু পানি পরা দিলো!!! আর বললো সাবধানে থাকতে!!

!!!

!!!

!!!

আমি হাসপাতালে গেলাম নীলাকে আনতে!!! আমি গিয়েই নীলাকে বললাম তাবিজ টা পরে নিতে!!! নীলা বললো সে পরে পড়ে নিবে!!! রাতে যা সব ঘটলো তার কিছুই আমি নীলাকে জানালাম না!!আমি নীলাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম!!! সারা দিন ওর খুব খেয়াল রাখলাম!!!সারা দিন আমাদের খুব ভালই কাটলো!! সারা দিন আমার উপর দিয়ে খুব ভালই ধকল গিয়েছে!!! 

!!!

!!!

!!!

তাই তারা তারি আমি শুয়ে পরলাম!!! আর নীলা কেউ শুয়ে পরতে বললাম!!! মধ্যরাতে আমার ঘুম ভেঙে গেলো!!!! আমার ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি খাটটা কাপছে আর নীলা মেঝেতে দাড়িয়ে!!! নীলার ওর হাতের ইশারায় খাটটাকে উপরে তুলে ফেললো!!! আমি বলতে থাকলাম কী করছো এই সব নীলা??? আমি ত পরে যাবো!!!

!!!

!!!

!!!

নীলা কী এক ভয়ংকর কন্ঠে বলতে লাগলো!!! কী ভেবেছিস তুই!!!? তুই আমাকে এখানে আসা বন্ধ করবি??? তুর কত বড় সাহস তুই আমাকে তাড়ানোর উপায় খুঁজছিস??? আমি খেয়াল করলাম হুজুর যে তাবিজ টা নীলার জন্য দিয়েছিলো সেটা ওর হাতে নেই!!!


!!!!

!!!!

চলবে ত???

!!!

!!!

 ###!ভয়ংকর ছায়া

###! পর্বঃ ০৬

###! জুনায়েত 


আমি লক্ষ্য করলাম হুজুর যে তাবিজ টা নীলাকে পরানোর জন্য দিয়েছিলো সেটা নীলার হাতে নেই!!!! তার মানে নীলা ওটা পরেনি!!!  তাই নীলা এমন করছে!!! আমি খেয়াল করলাম  নীলার চেহেরা বদলে গেছে!!এটা যে আমার নীলা তা দেখে বুঝায় যাচ্ছে না!!! কিন্তু আমি আর একটা বিষয় দেখে বেশি ভয় পেলাম সেটা হলো নীলার একটা হাত কাটা ছিলো!!! 

!!!

!!!

!!! 

সেই কাটা স্থান দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পরছে!!! আমি মেঝেতে পরে ছিলাম!!! নীলা শুধু বার বার ওই কবরের দিকে তাকাচ্ছিলো!! আর ওই দিকে তাকিয়ে শুধু চিৎকার করে কাঁদছে!!! আমি বুঝতে পারছি না!!! আমার নীলার সাথে এসব কী হচ্ছে!!! আমি আমার নীলার কোন অস্তিত্ব এই মানুষটার মাঝে খুজে পাচ্ছি না!!!

!!

!!

আমি শুনতে পেলাম ফজরের আজান হচ্ছে!!!আর আমি খেয়াল করলাম নীলা আস্ত আস্তে দূর্বল হয়ে পরছে!!! নীলা নেতিয়ে পরেছে!!! আমি খেয়াল করলাম নীলা মাথা ঘুরে মেঝেতে পরে গেছে!!! আমি দৌড়ে গিয়ে নীলাকে কোলো তুলে নিলাম!!  আর নীলাকে ডাকতে থাকলাম নীলা নীলা কী হলো তুমার???  কথা বলো নীলা!!! 

!!!

!!

!!!

প্রায় একঘন্টা পর নীলার হুশ হলো!!! নীলা আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমার কী হয়েছিলো??  আমি বললাম তেমন কিছু না ‌!!!   এমনি মাথা ঘুরে পরে গিয়েছিলে!! আমি নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম নীলা আমি যে তুমাকে  তাবিজ টা কাল কে পরার জন্য দিয়ে ছিলাম সেটা কোথায়!!!  নীলা জানালো সেটা সে পরেছিলো!!! কিন্তু  হঠাৎ করে কেউ যেন সেটা টান দিয়ে খুলে নিয়েছে!! 

!!

!!

!!

আমি বললাম কখন খুলে গিয়েছিলো??? নীলা জানালো হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ওই কবরস্থানের পাশে!!!! আমার বুঝার বাকি রইলো না!!! যে এটা ওই কবরস্থানের অশোভ শক্তির কাজ ছাড়া আর কারো নয়!!! আমি আর কথা বাড়ালাম না!!! আমি নীলাকে বিছানায় শুয়িয়ে দিলাম!!! আর সকাল হতেই আমি হুজুরের কাছে চলে গেলাম!! আমি হুজুর কে সব খুলে বললাম!! 

!!

!!

!!

হুজুর সব শুনে বললো এটা খুব বাজে একটা শক্তির কাজ!!! ও খুব শক্তিশালী!!!  ওকে পাকরাও করা খুব কঠিন হবে!!!! হুজুর বললো আবার যখন ওই অপশক্তি টা তুমার স্ত্রীর শরীরে প্রবেশ করবে তখন তুমি ওকে জিজ্ঞেস করবে কে ও??? আর ও কী চাই এখানে??? ও কেন এই খানে তুমার স্ত্রীর শরীরে প্রবেশ করে??? আমি হুজুরের কাছ থেকে চলে আসলাম!!

!!

!!

!!

পরের দিনটা ভালই কাটলো!!! রাতের ঘটনা!!! আগের দিনের মতই একই ঘটনা ঘটলো!!! আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি নীলা জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে!!!আমি নীলাকে ডাকলাম!!!  নীল ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকলো!!! আর আমার গলা চেপে ধরলো!!!আমি কোন মতে গলাটা ছাড়িয়ে বললাম কে তুমি???  আর কী চাও এই খানে??? তুমি কেন আমার স্ত্রী নীলাকে এই ভাবে বিরক্ত করছো!!

!

!

!

এবার নীলা মাটিতে বসে পরলো!!!কিছু বলছে না ও!!! আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম  কে তুমি?? আর বলো কি চাও   তুমি??? এবার ওই অপশক্তি টা কাদঁতে থাকলো আর বললো তুমি জানতে চাও আমি কে???? তাহলে শুনো আমি কে???


!! ভয়ংকর ছায়া

!! পর্বঃ ০৭

!! জুনায়েত 


তুমি জানতে চাও আমি কে??? তাহলে শুনো আমি কে??? আমি তুমাদের মতই একজন মানুষ ছিলাম!!! আমি ও কাউকে ভালবাসতাম!!! কিন্তু কিছু স্বার্থপর মানুষ আমার ভালবাসা কে স্বার্থক  হতে দেয়নি!!!আমি বললাম আমি তুমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না!!! তুমি একটু সব কিছু খুলে বলো আমায়!!! যাতে আমি সব কিছু বুঝতে পারি!!!

!!

!!

!!

নীলার শরীরে থাকা আত্মা টা বললো আমি একটা মেয়েকে ভালবাসতাম!!!!মেয়েটাও আমাকে খুব ভালবাসতো!!! আমি জিজ্ঞেস করলাম তাহলে কী এমন হলো যে যার জন্য তুমার আজ এই অবস্থা ??? ও কাঁদতে থাকলো!!! আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি কাঁদছো কেন?? কি হলো তার পর বলো??? ও বললো দিনটা ছিলো রবিবার!!!

!!

!!

!!

আমার ভালবাসার মানুষটি আমাকে এসে বললো ও নাকি ওর বাবাকে  আমাদের ভালবাসার কথাটা বলেছে!!! আর ওর বাবা নাকি আমাদের ভালবাসা মেনে নিয়েছে!!! ও বললো ও সেদিন খুব খুশি হয়েছিলো!!!! ওর ভালবাসার মানুষটি ওকে বলেছিলো ওর বাবা নাকি আমাকে ওনার সাথে দেখা করতে বলেছেন!!! তাই সে নাকি দেখা করতে যাবে ভেবেছিলো!!!

!!

!!

!!

মেয়েটির বাবা একটা জায়গার নাম বলেছিলো যেখানে গিয়ে ওনার সাথে দেখা করতে হবে!!!  ও নাকি ওখানে গিয়েছিলো!!! কিন্তু ওর নাকি জানা ছিলো না যে মেয়েটার বাবার মনে যে অন্যকিছু ছিলো!!!  আত্বাটা বললো ও যাকে ভালবাসতো ওর বাবা নাকি বড় লোক!!! তাই ওনি আমাদের ভালবাসা মেনে নেওয়ার অভিনয় করেছিলেন!!!

!!

!!

!! 

আত্মাটা বললো ও নাকি ওখানে গিয়ে খুব অবাক হয়েছিলো!!! ও নাকি ওখানে যাতেই মেয়েটির বাবা বলে উঠলো কীরে ছোট লোকের বাচ্চাঁ তুই কী ভেবেছিস আমি তুর এই নুংরা ভালবাসার অভিনয় মেনে নেব????  তুই একটা ছোট লোক!!! কোথায় তুই আর কোথায় আমার মেয়ে!!!?? আত্মা টা বললো আমি ওখান থেকে চলে আসতে চেয়েছিলাম!!! আমি যখন চলে আসার জন্য পিছন ঘুরলাম ঠিক তখন!!

!!

!!

!! 

আমি আমার মাথায় কিছু একটার আঘাত অনুভব করলাম!! আমি পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখি চারজন লোক লাঠি হাতে দাড়িয়ে!!!  আমার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারনে আমি মাটিতে পরে গেলাম!!! তখন মেয়েটির বাবা বললো তোকে জেন্ত ছেড়ে দিলে আমার মেয়ের জীবন টা নষ্ট হবে তাই তকে মরে যেতে হবে!!! এই বলে ওরা আমাকে মারতে শুরু করলো!!

!!

!!

!! 

তার পর ওরা আমাকে এই সামনের কবরাস্হানে নিয়ে এলো আর আমাকে জেন্ত মাটি চাপা দিলো!!! আর যার জন্যই আজ আমি তুমার সামনে এই অবস্থায় আছি!!! এই কথা গুলো বলা শেষ করে ওই আত্মা টা চিৎকার করে কাঁদছে!!!? আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম তুমার নাম কি??? ও বললো ওর নাম আরফিন!!!

!!

!!

!!

 ওর কথা গুলো শুনে আমি ও কেঁদে ফেলেছি!!! আমি ওকে আরো জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু তুমি আমার নীলার পিছনে কেন পরে আছো??? আর কে তুমার ভালবাসা?? ও বললো জানতে চাও আমার ভালবাসার মানুষের নাম কী?? তাহলে শুনো!!!আমার ভালবাসার নাম হলো!!!!!!.....😁😁😁

!!

!

!

চলবে!!!!!

!

!!! ভয়ংকর ছায়া 

!! পর্বঃ 08

!! জুনায়েত 


!! তুমি জানতে চাও আমার ভালবাসার মানুষের নাম কী???  তাহলে শুনো আমার ভালবাসার মানুষের নাম হলো নীলা!!!  নীলা?????? আমি জিজ্ঞেস করলাম নীলা মানে?? আত্বা টা বললো নীলা মানে হলো তুমার স্ত্রী নীলা!!! তুমার স্ত্রী নীলাই হলো আমার ভালবাসার মানুষ!!!  এই কথাটা শুনার পর আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো!!! কী বলছে এ??? 


!!

!!

!!

আমার নীলা তাহলে আগে অন্য একজন কে ভালবাসতো!!!আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম নীলা কী সত্যি তুমাকে ভালবাসতো!!!! ও বললো হ্যা নীলা ওকে সত্যি ভালবাসতো!!!! আমি বুঝতে পারছি না আমি এখন কী করবো!! নীলার জীবনে যে এতো বড় একটা ঘটনা ছিলো এটা আমার আগে ত জানা ছিলো না!!!!আমি ওকে বললাম বিশ্বাস করো আমি এসব এর কিছুই জানি  না!!!

!

!

!

নীলার জীবনে এত বড় ঘটনার কিছুই নীলার বাবা আমাকে জানাই নি!!! ওই আত্মা টা বললো আমি জানি তুমি কিছুুই জানো না!!!! তাইতো আজ পর্যন্ত আমি তুমার কোন ক্ষতি করিনি!!! ও বললো যে দিন আমার সাথে নীলার বিয়ে হয়েছে ওই দিন ও খুব কেঁদে ছিলো!!! আর নীলাকে অনেক ডেকেছে আর বলেছে আমি মরিনি নীলা আমি তুমার সামনে দাড়িয়ে আছি!!

!

!

!

কিন্ত নীলা নাকি শুনেনি!!! কী করে শুনবে বলোন??? কোন মৃত মানুষের কথা কী কেউ কখনো শুনতে পায়!!???  তবে আমার একটা বিষয় ভেবে খুবই খারাপ লাগছে সেটা হলো!!! নীলা আমার ভালবাসার মানুষ হয়েও ওর জীবনের এতো বড় একটা সত্য আজ পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছে!!! তাইতো বলি নীলা মাঝ রাতে উঠে মাঝে মাঝে কান্না করে কেন???

!

!

!

আমি ওই আত্মা টাকে বললাম তুমি নীলার উপর এমন করছো কেন??? নীলা ত তুমার কোন ক্ষতি করিনি!!!  তুমি নীলাকে খুব কষ্ট দিচ্ছ!!!তুমি না নীলাকে ভালবাসো???? ছায়াটা কাঁদতে থাকলো আর বললো  হ্যা আমি আজ পর্যন্ত নীলাকে ঠিক একই পরিমানে ভালবাসি!!!! আমি বললাম তাহলে তুমি নীলাকে আর বিরক্ত করো না!!  চলে যাও ওর জীবন থেকে!!!

!

!

!

ওই আত্মা টা আর কোন কথা বলছে না!! আমি বললাম চুপ করে আছো কেন??? কথা বলো!!! নীলার মাটিতে পরে গেলো!!! আমি শুনতে পেলাম ফজরের আজান হচ্ছে!!!  তার মানে আজকের মতো ও চলে গেছে!!!৷ আমি আর কিছু না ভেবেই নীলাকে বিছানায় শুয়িয়ে দিলাম!!!  ভোরের আলো কেটে গেলো!!! নীলার ঘুম ও হলো!!! আমি নীলাকে জাগালাম!!! 

!

!

!

নীলাকে সকালের খাবার খাওয়ালাম!! তার পর নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম নীলা আরফিন কে??? নীলা আমার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পরলো!!!! ও আমার প্রশ্ন শুনে খুবই অবাক হলো!!! ও বললো হঠাৎ এই প্রশ্ন???আমি বললাম বলো আরফিন কে??? নীলা কিছু বলছে না!! শুধু মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলছে!!! আমি ধমক এর সুরে বললাম বলো কে এই আরফিন??

!

!

নীলা কেঁদে কেদে বললো আরফিন হলো ওর ভালবসার মানুষ এর নাম!!! আরফিন নামের ওই ছেলেটাকে নাকি ভালবাসতো নীলা!!!! আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কখনো এই কথাটা বলার প্রয়োজন বোধ করোনি কী নীলা??? নীলা বললো কী বলবে ও!!! ও বলবে যে ও যাকে ভালবাসতো সে অনেক টাকা তার বাবার কাছ থেকে নিয়ে ওকে ছেড়ে চলে গেছে!!!

!

!

আমি নীলার কথা শুনে খুবই অবাক হলাম!! আর বললাম মানে?? নীলা বললো আরফিন ওর বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে বিনিময়ে আরফিন ওকে ছড়ে চলে গেছে!!! আমি বললাম এ কথা তুমাকে কে বলেছে??? নীলা বললো ওর বাবা বলেছে!!!! আমি আর নীলাকে কিছু বললাম না!!! 

!

!

পরের দিন আমি কবরস্থানে গেলাম আর কবরাস্হানের পাশে একজন লোকের বাড়ি আছে আমি ওনার কাছে গেলাম!!! শুনতে যে আরফিন  এর আত্বা যা বলেছে তা সত্য কী না??? আমি ওই লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম কবরাস্হানের শেষের কবরটা কার!!!? ওনি যা বললো তা শুনে আমার শরীরের লোম দাড়িয়ে গেলো!!!


 আজ চলবে ত?????

!!!  ভয়ংকর ছায়া

!!! পর্বঃ ০৯

!!! জুনায়েত 


!!! আমি লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম এই করব টা কার??? ওনি যা বললো তা শুনে আমার শরীর হিম হয়ে গেলো!!!!  লোকটা বললো এটা কার কবর কেউ জানে না বাবা!!! আমি বললাম মানে বুজলাম না আপনার কথার??? একটু পরিষ্কার করে বলুনতো!!! লোকটা বললো এটা কার কবর আমারা কেউ জানি না!!! এই কবরটা হঠাৎ করেই হয়ে গেছে!!

!

!

আমি বললাম কী বলছেন এইসব??  কবর কোখনো হঠাৎ করে হয়ে যায় নাকি??? লোকটা বললো অনেক দিন আগের কথা!!! আমরা প্রতিদিন কবরাস্হান পরিদর্শন করতাম!! সেদিন ও আমরা কবরাস্হান পরিদর্শন করতে কবরাস্হানে এলাম!!! আর আমরা  হঠাৎ এই কবরটা দেখতে পেলাম!!! আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনারা পুলিশ কে জানান নি??? 

!

!

!

লোকটা বললো পুলিশ কে জানাতাম কেন?? আমি বললাম হঠাৎ করে কবরাস্হানে একটা কবর চলে আসলো আর পুলিশ কে জানানোর প্রায়োজন বোধ করলেন না আপনারা!! লোকটা কোন কথা বলছে না!!! আমি ওই লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম এই কবরের বিশেষত্ব কী??? ওনি বললো কেউ এই কবরের আশে পাশে আসে না!!! আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন আসে না??

!

!

!

লোকটা বললো সবাই ভয় পায়!!! কারন সবাই বলে মাঝরাতে নাকি এখানে কেউ কান্না করে!!!! আর যে এই কবরের পাশ দিয়ে যায় তার নাকি বিপদ হয়!!! আমি লোকটার কথা শুনে খুব ভয় পেয়ে গেলাম!!! আর আমি মনে মনে ভাবতে থাকলাম আরফিন এর আত্বা যা বলেছে তার মানে সব সত্যি ছিলো!!!আমি ওই কবরের পাশ দিয়েই আসছিলাম!!!  আর বার বার ওই কবরের দিকে তাকাচ্ছিলাম!!!! 

!

!

!

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ওই কবরটা আমাকে কিছু বলতে চাইছে!

আমি তারা তারি বাড়ি ফিরে এলাম আর নীলাকে বললাম চলো তুমাদের বাড়ি যাবো!!! নীলা জিজ্ঞেস করলো হঠাৎ  আমাদের বাড়ি কেন?? আমি বললাম দরকার আছে চলো!!! আমি নীলাকে নিয়ে ওদের বাড়িতে চলে আসলাম!!!!আমি নীলাদের বাড়ি এসেই নীলার বাবাকে ডাকলাম!!!  আর নীলাকে বললাম তুমি এখান থেকে যাও!!!


 তুমার বাবার সাথে আমার কিছু কথা আছে!!নীলা ওখান থেকে চলে গেলো!! আমি নীলার বাবাকে বলল আচ্ছা আরফিন কে???  নীলার বাবা আমার কথা শুনে খুবই অবাক হলো!!!! আর বললো আরফিন???  আরফিন আবার কে??? আমি বললাম সত্যি আপনি আরফিন কে চিনেন না??? নীলার বাবা বললো না আমি আরফিন কে চিনি না!!! আমি বললাম আরফিন আপনাকে বাঁচতে দেবে না!!

!

!

নীলার বাবা বললো কিন্তু আরফিন তো বেঁচেই নেই!!! আমি বললান আরফিন যে বেঁচে নেই সেটা আপনি কী করে বুঝলেন!!  নীলার বাবা এবার চুপ করে আছে!!! আমি বললাম আপনি খুব বড় একটা অপরাধ করে ফেলেছেন!!! যে অপারাধের কোন ক্ষমা নেই!!!আমি নীলার বাবাকে বললাম আপনার ভুলের কারনে আরফিন আজও এই পৃথিবীতে  আছে!!

!

!

!

নীলার বাবা আমার কথা শুনে খুব ভয় পেয়ে গেলো!!! আর আমাকে জিজ্ঞেস করলো মানে কী বলছো তুমি??? আমি বললাম আপনি আরফিন এর শরীর কে নীলার থেকে আলাদা করেছেন ঠিকই কিন্তু ওর আত্মা কে আপনি নীলার কাছ থেকে আলাদা করতে পারেননি!!!?? আমি আরো বললাম আরফিন আজ এই পৃথিবীতে আছে!!! আর আরফিন আজও নীলাকে ঠিক একই পরিমানে ভালবাসে!!!

!!

!!

!!

নীলার বাবা শুধু চুপ করে আমার কথা গুলো শুনছে!!! কিছু বলছে না!!!! আমি ওনাকে বললাম আমার মনে হয় না আরফিন আপনাকে বাঁচতে দেবে!!! ওর অতৃপ্ত আত্মা আপনাকে মেরে ফেলবে!!! নীলার বাবা এবার ভয়ে কাঁদতে থাকলো!! আর আমার কাছে চলে আসলো আর আমাকে বললো বাবা জুনায়েত তুমি কিছু একটা করো!!! আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি!!!

!

!

!

আমি বললাম আমি জানি না আরফিন এর আত্মা কী করবে???  একমাত্র নীলাই পারে আরিফন কে থামাতে!!!! আমি নীলাকে ডাকলাম আর ওকে বললাম তুমি সেদিন বলেছিলে না আরফিন তুমার বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে!  বিনিময়ে তুমাকে ছেড়ে চলে গেছে!!! নীলা বললো হ্যা বাবাতো আমাকে তাই বলেছিলো!!! আমি নীলাকে বললাম তুমার বাবা তুমাকে মিথ্যা বলেছে!!

!

!

!

আমি নীলাকে বললাম তুমি জানতে চাও আরফিন কোথায় আছে?? আর ও কেন তুমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে!!!!?  নীলা কেঁদে কেঁদে বলছে তারা তারি বলো আরফিন কোথায় আছে!! কেমন আছে ও!!! আমি নীলার হাতটা ধরে বাড়ি নিয়ে এলাম!! আর ওকে কবরাস্হানে নিয়ে এলাম!!! আর শেষের কবরটার পাশে ওকে নিয়ে গেলাম!!! আর বললাম জান এটা কার কবর??? নীলা বললো কার কবর এটা?? আমি বললাম তাহলে শুনো!!! এটা হলো......!!!!!


!

!

!

চলবে ত??????

!

!


!

!

!  

কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন???