আমরা আ💞প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি💞

লেখিকাঃ🌿হ্যাপী🌿

পার্টঃ০৬

সকালে

আমরা আম্মুকে  নিয়ে বাসায় আসছি আর এসেি যা দেখলাম তার জন্য মোটেই পস্তুত ছিলাম না, অফিস থেকে অনেক লোকজন সাথে কিছু উকিল ও এসেছে,, আমি আম্মুকে নিয়ে বাসায় ভিতরে গেলাম আর ভইয়া এখানে থেকে সব কিছু নিলামে দিয়ে ব্যংকের টাকা পরিশোধ করলো,,সবাই চলে গেলো,,ভাইয়া কার সাথে জেনো কথা বলে বাসায় আসলো,,

আম্মুকে নিয়ে চলআমাদের নতুন বাসায়,,একটা ছোট বাসা ভাড়া নিয়েছি,,তোমাদের কষ্ট হবে তবে এত কম সময়ের মধ্যে এর চেয়ে ভালো বাসা পেলাম না

ভাইয়া কী বলছো,,আমাদের সম্যসা হবে না চলো,,মা চলো,,

মা কিছু না বলে আমদের ফেমেলির আর বাবার দুইটা ছবি নিয়ে বের হয়ে গেলাম,, বের হওয়ার আগে আর একবার বাড়িটা ঘুরে দেখলাম কতো স্মৃতি আছে খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই


নতুন বাসায় এসে ঢুকলাম ভাইয়ার কথায় ভাইয়ার কিছু বন্ধু মিলে ঘরের কিছু আসবাবপত্র কিনে রেখেছে,,,আম্মু অসুস্থ হওয়ার আগে আম্মুকে বিছানায় শুয়ালাম,,,ভাইয়া রুমের বাহিরে দাড়িয়ে আছে,,ভাইয়া

কিছু বলবি হ্যাপী

এই নাও টাকা কিছু বাজার করে নিয়ে আসো কাল থেকে তো কেউ কিছু খাইনি তারপর আম্মু অসুস্থ 

তুই টাকা কোথায় পেলি

আমাকে তোমরা যে টাকা দিতে তার থেকে কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম

আচ্ছা তুই আম্মুর কাছে থাক আমি বাজার নিয়ে আসছি,,বলে ভাইয়া চলে গেলো

আমি বসে বসে কাল থেকে আজ পযন্ত যা হলো তা ভাবছি বাস্তবতা কতো নিষ্ঠুর,, কখন কার সাথে কী হয় কেউ বলতে পারে না,,,

হ্যাপী কি ভাবছিস,,

তুই এখানে

হুম তোর ভাইয়ার কাছে ঠিকানা জেনে খাবার নিয়ে এলাম,,আন্টি কোথায় আন্টির তো ঔষধ খাওয়া লাগবে,,

আম্মু রুমে যা চেষ্টা করে দেখ খাওয়াতে পারিস কি না,,

আন্টিকে অনেক কষ্টে একটু খাওয়াতে পেরেছি ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে এখন ঘুমাচ্ছে এবার তুই খেয়ে নে শাহীন আসলে আমি ওকে খেতে দেবো

নারে আমার ক্ষুদা নেই ভাইয়ার জন্য রেখে দে ভাইয়া কাল থেকে কিছু খাইনি 

আমি কী তোর ভাইয়ের জন্য খাবার আনি নি,,সবার জন্য আনছি,,প্লিজ বোন না ভালো আমার একটু খেয়ে নে নাহলে তুই ও অসুস্থ হয়ে যাবি তখন আন্টিকে কে সামলাবে বল,, অনেক বুঝিয়ে খাবার খাওয়াতে পারলাম যা এইবার একটু রেস্ট নে আমি আছি শাহীন বাজার আনলে আমি রাখবো 

আসলে নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগছে তাই ইমুর কথামতো রেস্ট নিতে চলে গেলাম


হ্যাপী কোথায় তুই বজার নিয়ে আসছি তারাতাড়ি কিছু রান্না করে আম্মুকে খাবার দে,,আম্মুর ঔষধ খাওয়া লাগবে 

আন্টিকে খাবারের পর ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে আর হ্যাপীকেও জোর করে কিছুটা খাওয়ানোর পর একন একটু রেস্ট নিতে পাঠিয়েছি,,তুমি হাতমুখ ধুয়ে আসো আমি তোমাকে খাবার দিচ্ছি 

না এখন খাবো না তুমি বাজার গুলো রেখে বাসায় চলে যাও

কেনো খাবে কাল থেকে তো একটু কাও নি তোমার কী খিদে লাগে নি,,নাকি আমি রান্না করে আনছি বলে খাবে না 

প্লিজ এইসব এখন আমার ভালো লাগছে তুমি বাসায় যাও এখানে আর আসার দরকার নাই 

কেনো,,আমার স্বামী যেখানে থাকবে আমি সেখানে কেনো আসতে পারবো না

শুধু শুধু তর্ক করো না,,বলেই রুমে চলে এলাম 

ইমু প্লেটে করে খাবার নিয়ে আমার পিছনে রুমে এসেছে 

হা করো আমি না খাইয়ে কোথাও যাবো না

আমি ও চুপ করে খেয়ে নিলাম (জানি এই মেয়ে যতক্ষণ না খাওয়াবে ততক্ষণে আমাকে ছাড়বে না,,,খাওয়া শেষ এইবার তুমি বাসায় যাও,,

শাহীন মনে করো এখন যদি তোমার জায়গায় আমি থাকতাম তাহলে কী তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে

কী বলছে এইসব,,

তাহলে কেনে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে বলছো,,বলেই শাহীন কে জরিয়ে ধরলাম

শাহীন ও আমাকে জরিয়ে ধরছে,, কি করবো এখন কিছু বুঝছি না বাবা কেনো চলে গেলো আমাদের

একা রেখে,, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ইমু

সবঠিক হয়ে যাবে আমরা সবাই আছি তো,,এখন আমার কোলে মাথা রেখে কিছুক্ষন শুয়ে থাকো আমি তোমার মাথায় হাতবুলিয়ে দিচ্ছি,,,শাহীন ভদ্রছেলের মতো সুয়ে পড়লো,,


বিকালে আমি আর ইমু  দুজনেই মিলে হালকা কিছু রান্না করে নিলাম,,এই বাসায় আগে যারা ছিলো তারা বাড়া দিতে না পারায় আসবাবপত্র সব রেখে গেছে,আর তাই বাড়ি ভাড়া বেশি দাবি করে এই আসবাবপত্র আমাদের ব্যবহার করতে বলে,,ভাইয়া আর কোনো উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেছে,,, সন্ধায় ইমু বাসায় চলে যায়,,রাতটা আজও আমাদের ঘুমহীন কেটেছে,, অচেনা বাসা অচেনা পরিবেশ,, 

সাকলে ভাইয়া একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে আমি আম্মুকে নাস্তা করিয়ে ঔষধ খাওয়ানোর পর,,বের হলাম,,ভাইয়া একা কি করবে, আমি যদি কোনো কিছু করতে পারি ভাইয়ার কষ্ট কম হবে,,কিছু দিন আগে কয়েক জন আমার কাছে প্রাইভেট পরতে চেয়েছিল,,তখন আমার পড়ার জন্য পড়ানো হয় নাই,,তাই এখন চেষ্টা করে দেখি সেই সুযোগটা পাই কিনা

কখনো ভাবি নি এভাবে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে,,,যেভাবেই হোক চাকরি আমাকে পেতেই হবে,,সামনে এতে মানুষ কিসের,,,

দেখি একটু সাইড দিন,,একি একটা মানুষ এমন অবস্থায় পড়ে আছে আর আপনারা সবাই দাড়িয়ে দেখছেন,,,তারপর কয়েকজন মিলে একটা হসপিটালে নিয়ে গেলাম,,ইন্টারভিউ আর দেওয়া হলো,,মানুষের জীবনের চেয়ে চাকরি কখনো বেশি ইম্পরট্যান্ট না,,


অনেক কষ্টে তিনটা টিউশনি পেয়ছি, মাস শেষে সাত হাজার পাবো,,তা ও কিছু উপকার হবে,, বাসায় এসে দেখি ইমু আম্মুকে খাবার খাওয়াচ্ছে,, আসলেই ইমুর মতো মেয়ে হয়না,,ওর জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে হলে ভাইয়াকে ছেড়ে চলে যেতো,,কিন্তু ইমু ভাইয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে

কিরে দাড়িয়ে কী ভাবছিস আর কোথায় গিয়েছিলি,,

কাজ ছিলো,


বিকাল হয়ে গেলো ভাইয়া এখনো আসছে না,,আমরা সবাই চিন্তা করছি,,ইমু ভাইয়াকে একটা কল দে তো,,

ঐদিকে,

ডাক্তার লোকটি কেমন আছে

ভালো তবে আজ রাতটা হসপিটালেই থাকতে হবে,,

ডাক্তার চলে গেলো,,একজন নার্স এসে লোকটার জিনিসপএ আমার কাছে দিয়ে গেলো,,আমি ফোনটা চেক করে ডায়ালে অয়ন নাম সেভ করা নাম্বার দেখলাম হয়তো লোকটার ছেলে তাই আর লেট না করে কল দিলাম,,হ্যালো,,

হ্যালো বাবা কেমন আছো

সরি আমি আপনার বাবা না আসলে আপনার বাবা রাস্তায় পায় অসচেতন অবস্হায়

কী,,,

চলবে,,,,,