💞প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি💞

লেখিকাঃ🌿হ্যাপী🌿

পার্টঃ ০৭

কী,,,বাবা এখন কেমন আছে

আপনার বাবা এখন ভালো আছে কিন্তু আজ হসপিটালে থাকতে হবে

আমি তো দেশের বাহিরে,,,প্লিজ আজকের রাতটা আপনি বাবার সাথে থাকেন,,আমি আজ রাতের ফ্লাইটে দেশে আসছি

আচ্ছা,,,

ইমু এখন কল দিলো,,হ্যালো

কোথায় তুমি এখনো বাসায় আসছো না যে আর ইন্টারভিউ কেমন হলো

আসলে আমি ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারি নি,,,তারপর সব খুলে বললাম

ভালো করছো আর সাবধানে থেকো,,,কিছু খেয়ে নিও,,রাখি

আচ্ছা 

কিরে ভাইয়া কি বললো

আমি সব কিছু বলার পর বাড়িতে চলে আসি

রাতে,

আমি এই কয়দিনে আর অচেনা মানুষকে কল দেয় নি,,,ভালোবাসা টা মনের মধ্যেই কবর দিলাম এখন আমার শুধু পরিবারের কথা ভাবতে হবে,,সিমটা খুলে ফেলে দিলাম,,যাতে আমাকে কখনো কল দিতে না পারে।


সকালে,,,,

অয়ন কাল রাতের ফ্লাইটে দেশে এসেছে,,, বাবা এখন কেমন আছে,,, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,,

না ধন্যবাধ দিয়ে ছোট করবেন না,,,,

পেশেন্ট আপনাকে ডাকছে(নার্স শাহীনের উদ্দেশ্য করে বললো)

দুজনেই ভিতরে গেলো

বাবা তুৃমি না থাকলে হয়তো আমি বাঁচতে পারতাম না,,

না আংকেল এভাবে বলবেন না,,,আপনি ভালো আছেন এটাই অনেক,,আংকেল আমার এখন যেতে হবে,,কাল ইন্টারভিউ দিতে পারি নি আজ না পারলে অনেক সম্যসা হবে,,এখন তো আপনার ছেলে আছে আর আপনার সম্যসা হবে না

কিসের ইন্টারভিউ ভাইয়া (অয়ন)

চাকরির,, 

তাহলে আর যাওয়া লাগবে না আমার অফিসে একজন লোক লাগবে তুমি রাজি থাকলে

আংকেল আপনি আমার অনেক বড় উপকার করলেন,,চাকরিটা আমার খুব দরকার ছিলো,,(অনেক খুশি হয়ে)

ঠিক আছে,,এইযে আমাদের অফিসের ঠিকানা কাল থেকে জয়েন করতে পারেন(অয়ন)

তার পর কিছুক্ষন কথা বলে চলে এলাম,,,বাসায় আসার সময় হাতে করে মিষ্টি নিয়ে এলাম হ্যাপী মিষ্টি খুব পছন্দ করে,, 

হ্যাপী,, আম্মু কোথায় 

আম্মু শুয়ে আছে,, 

এই নে মিষ্টি আমার চাকরি টা হয়ে গেছে কাল থেকে জয়েন,,

সত্যি (অনেকটা খুশি হয়ে) 

যাও ফ্রেস হয়ে আসো আমি তোমার খাবার দিচ্ছি আর ইমু কে খবর টা দিও খুব খুশি হবে


ঐ দিকে অয়ন তার বাবাকে হসপিটাল থেকে বাসায় নিয়ে আসে,,এখন পুরোপুরি সুস্থ,,, 

রাতে,,অয়ন তা বাংলাদেশের সিম কার্ডটা অন করে অবাক হয়ে গেছে এতো কল তাও আবার হ্যাপীর ফোন থেকে,,কয়েকটা এসএমএস ও আছে,, তাই আগে এসএমএস গুলো চেক করলাম,,ঐ রাতের জন্য ক্ষমা চাইছে,,নিজে নিজেই হাসতে লাগলাম,,,আর আমি ও একটা কল দিলাম বাট ফোন অফ কিন্তু ওর ফোন তো কখনো অফ থাকে না,,, অনেকটা চিন্তায় পড়ে গেলাম,,,


সকালে ভাইয়া অফিসে চলে গেলো আর আমি প্রাইভেটে,,, এভাবে একটা মাস কেটে গেলো,,


অয়ন এই এক মাসে অনেক বার কল দিছে,, ওদের বাসায় ও খবর নিছে কিন্তু ওরা ঐ বাসায় এখন থাকে না,,,পাগলের মতো হ্যাপীকে খুজেছে,,, কিন্তু পায়নি

হঠাৎ একদিন 

রাস্তায় ইমুর সাথে দেখা 

কেমন আছো ইমু

জি স্যার ভালো,,আপনি কেমন আছেন

ভালো তো কোথায় ভর্তি হয়েছো,,তোমারা,,(হ্যাপীর কথা জানার জন্য কারন একমাএ ইমু জানে হ্যাপী এখন কোথায়)

আসলে স্যার এখনো ভর্তি হয়নি আর হ্যাপী মনে হয় আর পড়তে পারবে না,,

মানে,,কি হয়েছে হ্যাপীর(ভয় পেয়ে)

তারপর হ্যাপীর সাথে যা যা হয়েছে সব স্যারকে খুলে বললাম,,,

এতো কিছু হয়ে গেছে এই দুই মাসে,, হ্যাপী এখন কী করে,,কোথায় থাকে,,,

হ্যাপী এখন কিছু টিউশনি করে আর ঐ দিকে ওদের বাসা,,,আমি এখন ওদের বাসাশ যাচ্ছি,,ভালো থাকবেন স্যার

আচ্ছা তুমিও ভালো থাকবে

নিজের ওপর এখন রাগ হচ্ছে কেনো এতোদিন হ্যাপীর পাশে থাকতে পারলাম না,,,


পরের দিন অয়ন রাস্তায় হ্যাপীর জন্য অপেক্ষা করছে,,, হঠাৎ দেখে হ্যাপী আসছে কিন্তু কিছু বাজে লোক ওর পিছু নিয়েছে,,যা দেখে অয়নের মাথা গরম হয়ে গেছে,, 

হ্যাপী আর না পেরে এইবার দৌড় দিলো কিন্তু শেষ রক্ষা হলো,,কেউ মনে হয় ওকে ধরে ফেলেছে,,,

পিছনে তাকিয়ে দেখে অয়ন,,,স্যার আপনি(দুজনে দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে)

চলবে,,,,

((আমাদের বাড়িতে আমার ছোটবেলার ফ্রেন্ডের করোনা ধরা পরছে,নাম সোনিয়া,,নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসছিলো,,তাই বাড়িতে পুলিশ, লোকডাউন,,সব,মিলিয়ে আজকের পার্ট টা ভালো হয় নাই,, তাই চেষ্টা করবো আজ আরেকটা পার্ট দেওয়ার জন্য,,সবাই আমার ফ্রেন্ডর জন্য দোয়া করবেন,,,))


[ সবাই লেখিকা ও তার ফ্রেন্ডর জন্য দোয়া করবেন প্লিজ ]