বহুরুপী
#পর্ব-০১
লেখা নাহিদ হাসান নিবিড়
সকাল সকাল মা এসে ঘরে ঢুকে হলুদ একটা খাম আমার মুখের উপর ছুড়ে মেরে বলল-
"ছিছি তুই এতো নীচে নেমে গেছিস!"
কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজা সজোরে টান দিয়ে মা বের হয়ে গেল।
আমি বিছানায় উঠে বসে খামের দিকে তাকালাম। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের হলুদ খাম। খামে ডেফিনেটিভ ডাকটিকিট লাগানো, ডাকবিভাগের সীল দেওয়া রেজিস্ট্রিকৃত চিঠি।
খামের একপাশ খোলা, সুতরাং মা চিঠি পড়েছে। চিঠিতে এমন কিছু লেখা আছে যা পড়ে মা ছিছি করে গেল। খাম থেকে চিঠি বের না করে আমি প্রেরকের ঠিকানায় চোখ দিলাম।
প্রেরক অংশে লেখা-
"তানিয়া চৌধুরী।"
"ভূইয়াবাড়ি, সিংহেশ্বর, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।"
ময়মনসিংহে আমার পরিচিত কেউ থাকে না। চিঠি কে পাঠাল বুঝতে পারছি না। প্রাপকের ঠিকানায়, আমার পুরো নাম লেখা আছে, বাবার নাম, বাড়ি নম্বর, লেন নম্বর সব লেখা আছে- অর্থাৎ চিঠি ভুল ঠিকানায় আসেনি। আমি খাম থেকে চিঠি বের করলাম।
চিঠি লেখা হয়েছে নোটপ্যাডের সুন্দর একটা পাতায়। হাতের লেখা যথেষ্ট সুন্দর-
প্রিয় নিবিড়,
আশা করছি ভাল আছো। একটা বিশেষ খবর পেয়ে লিখছি। তুমি বলেছিলে- কখনো যেন তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করি। আমি কখনো যোগাযোগের চেষ্টা করিনি, নিতান্ত বাধ্য হয়ে চিঠিটা পাঠানো, নম্বর বদলেছ, তোমার বর্তমান ফোন নম্বর আমার কাছে নেই।
শুনলাম- কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে করছ। বিয়ের চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গেছে। পাত্রীর নাম অহনা। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে।
তুমি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করছ জানতে পেরে খুশি হয়েছি। ভাবছ, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এতো কান্নাকাটি করলাম- তাহলে খুশি হলাম কেন?
ভেবে দেখলাম- সবার অজান্তে যেভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে, সাধারণ চোখে কেউ তা মেনে নেবে না। সবাই মেনে নিলেও আগের তুমি টাকে আমি আর ফিরে পাবো না।
আমি যা পাইনি অন্যকেউ তা পাবে, সেজন্যই খুশি হয়েছি।
পুনশ্চঃ ১- তোমার ছেলের বয়স আড়াই বছর হলো। আমি তার নাম রেখেছি, তকী।
পুনশ্চঃ ২- চিঠি লেখার মূল উদ্দেশ্য, বিয়ের আগে তুমি আমাকে অবশ্যই মৌখিকভাবে ডিভোর্স দিয়ে যাবে। ফোনে বললেও হবে, ফোন নম্বর আগেরটাই আছে।
চিঠি পড়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। এরকম অদ্ভুত চিঠি কে পাঠাতে পারে? কেউ কি আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে? তানিয়া নামের মেয়েটা কে? এটা কি তার ছদ্মনাম? আসল নাম কি হতে পারে?
আমি দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার চিঠি পড়ে বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম।
সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বর্ষন হচ্ছে। চিঠির শব্দগুলো বার বার চোখে ভাসছে। চিন্তায় চিন্তায় মাথা ধরে গেছে।
কিছুদিন পর অহনার সাথে আমার বিয়ে। বিয়ের কার্ড ইতোমধ্যে ছাপানো হয়ে গেছে। বাবা আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কার্ড বিলি করতে শুরু করেছেন। এমন সময় এরকম উদ্ভট চিঠি!
আমি সুক্ষ্মভাবে পুরো বিষয় ঠান্ডা মাথায়চিন্তা করতে শুরু করলাম-
ময়মনসিংহে আমার পরিচিত কেউ থাকে না। তানিয়া নামের কাউকে আমি চিনি না। সুতরাং তানিয়া নামের কেউ চিঠি পাঠানোর কথা না। চিঠিটা পাঠিয়েছে অন্য কেউ, যে আমাদের সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানে। কিন্তু কে? বন্ধুদের মধ্যে কেউ কি হতে পারে?
সম্প্রতি আমরা বাড়ি বদলে নতুন বাড়িতে উঠেছি।
লজিক বলছে- বন্ধুরা ছাড়া নতুন বাড়ির নম্বর, লেন নং, বাবার পুরো নাম, আমার পুরো নাম কেউ জানে না। আত্নীয়-স্বজনরা যদিও বাবা এবং আমার পুরো নাম জানে তবে নতুন বাড়িতে তারা এখনো আসেনি সুতরাং বাড়ির নম্বর তাদের জানার কথা না।
বাড়ি বদলাবার সময় বন্ধুরা এসেছিল বলেই ওরা বাড়ির নতুন ঠিকানা জানে।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত- চিঠিটা বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন আমাকে ভরকে দেবার জন্য নেহায়তই দুষ্টুমি করে পাঠিয়েছে। ছদ্মনাম হিসেবে- "তানিয়া চৌধুরী" ব্যবহার করেছে। চিঠি যেই লিখেছে- কাজটা একদম ঠিক করেনি। ফাজলামোর একটা লিমিট আছে।
মা সচরাচর আমার কোন কিছুতে হাত দেয়না। আজ হঠাৎ কি মনে করে চিঠি খুলল, কে জানে! মা নিশয়ই ভেবে বসে আছে- তাঁর ছেলে তাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছে। সেই ঘরে আমার একটা বাচ্চা ছেলেও আছে। ছেলের নাম- তকী।
আমি বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকলাম। কাপড় বদলে অফিসের কাপড় পরে ডায়নিংয়ে গেলাম।
মা গোমড়া মুখ করে ডায়নিংয়ে বসে আছে। আমি চেয়ার টেনে বসলাম। এতে তাঁর কোন ভাবান্তর হলনা। সে এক দৃষ্টিতে টেবিলের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বললাম-
"মা, চিঠিটা যে পাঠিয়েছে তাকে আমি চিনি না।"
মা কিছু না বলে চুপসানো মুখে বসে রইলেন। তাঁর চোখে-মুখে তীব্র দ্বিধা-দ্বন্দের স্পষ্ট ছাপ।
আমি মা'র চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম-
"দেখ মা, তানিয়া নামের কাউকে আমি চিনিই না, এসব তো দূরের কথা।"
মা গম্ভীর গলায় বলল-
"পরিচয় না থাকলে সেই মেয়ে এরকম চিঠি পাঠাল কেন? নাম ঠিকানা জানল কি করে?"
--"আমার মনে হচ্ছে- এসব আমার কোন বন্ধুর কাজ, নিছক ফাজলামো করে চিঠিটা পাঠিয়েছে।"
--"ফাজলামো করে এমন চিঠি কেউ পাঠায়? ভাগ্যিস কি মনে করে খাম খুলে চিঠিটা পড়েছিলাম, নইলে তো জানতামই না- আমার ছেলে, ছিছি।"
--"তুমি আমার কথা বিশ্বাস না করে, সাধারণ একটা চিঠির কথা বিশ্বাস করলে, চিঠিতো যে কেউই পাঠাতে পারে। ঠিকানা যোগাড় করা কি কোন সমস্যা?"
--"যে চিঠি পাঠিয়েছে তাকে ধরে নিয়ে আয়, এরপর বুঝব এসব তুই করিসনি।"
মা ডায়নিং থেকে উঠে নিজের ঘরে চলে গেল। নাস্তা না করেই আমি বাসা থেকে বের হলাম। মনটা কিঞ্চিৎ খারাপ, ফাজলামো করার এতো এতো বিষয় থাকতে বন্ধুরা স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে ফাজলামো করছে। এহেন ফাজলামো কোনভাবেই করা উচিত না।
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় মনিরের চায়ের দোকান হয়ে আসতে হবে, সবগুলাকে ওইখানেই পাওয়া যাবার কথা।
অফিসে কাজের চাপ অত্যাধিক, বিয়ের জন্য আগাম ছুটি নিয়ে রেখেছি। সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
রাকিবকে এক কাপ কফি দিতে বলে আমার ডেস্কে গিয়ে বসলাম। অফিসের কলিগ ফিরোজ ভাই ডেস্কে উঁকি মেরে বললেন-
"নিবিড় ভাই শুনলাম বিয়ের জন্যে অগ্রিম ছুটি নিয়েছেন?"
আমি বললাম-
"হু লম্বা ছুটি নিয়েছি।"
ফিরোজ ভাই কৌতূহলী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন-
"পাত্রী বৃত্তান্ত কি? মেয়ে কি করে? পড়াশোনা নাকি অন্যকিছু?"
--"মাস্টার্স শেষ করে চাকরি খুঁজছে।"
--"বয়স তো মনে হচ্ছে কাছাকাছি!"
--"হ্যাঁ, সেম বয়স।"
--"আগে থেকে জানাশোনা নাকি?"
--"না ভাই।"
--"আচ্ছা থাকেন। কাজ জমা পড়ে আছে, পরে চা খেতে খেতে গল্প করা যাবে।"
রাকিব এক মগ ভর্তি কফি টেবিলে রেখে হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করল,
"ভাইয়া আর কিছু লাগবে?"
আমি বললাম,
--"আর কিছু লাগবে না৷ তুমি বসো, কথা আছে।"
রাকিব, আমার পাশের চেয়ারে এসে বসল।
অফিসের সবাইকে রাকিব স্যার বলে ডাকে। আমাকেও স্যার বলে ডাকত, ব্যাপারটা আমার ভাল লাগে না। আমি বলেছি আমাকে যেন সে ভাইয়া বলে ডাকে। কি সুন্দর ফর্সা ঝকঝকে চেহারা, চোখে ধ্রুব মায়া, মুখে সবসময় মিষ্টি একটা হাসির প্রলেপ লেগে থাকে, রাকিব যাই-ই পরিধান করে তাতেই, ওকে সুন্দর মানায়। ছেলেটাকে পিয়ন পদে ঠিক মানায় না। এরকম ছেলের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করা উচিত। রাকিবের আরেকটা বিষয় হচ্ছে তাঁর ভীষণ বুদ্ধি। দারিদ্রতার কারণে পড়াশোনা করছে ডিগ্রীতে, পাশাপাশি অফিসে চাকরি করছে।
কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বললাম,
"দিনকাল কেমন যাচ্ছে রাকিব?"
--"ভাল ভাইয়া।"
--"পড়াশোনা ঠিকঠাক চলছে তো?"
--"জ্বী ভাইয়া।"
--"শুনেছ না, সামনে আমার বিয়ে?"
--"জ্বী ভাইয়া, শুনেছি।"
--"তুমি কিন্তু অবশ্যই আসবে।"
--"আচ্ছা ভাইয়া।"
আমি পকেট থেকে দুই হাজার টাকা বের করে রাকিবের পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে বললাম-
"এটা দিয়ে নতুন জামাকাপড় কিনবে। কেমন?"
রাকিব লজ্জা পেয়ে বলল,
"ভাইয়া আমার তো কাপড় আছে।"
--"তারপরও কিনবে।"
রাকিব মাথা নিচু করে বসে রইল।
অফিস থেকে মনিরের চায়ের দোকানে আসতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বেজে গেছে। বন্ধুদের মধ্যে রবিন বাদে সবাই আছে। রবিন না থাকার কারণ হচ্ছে- রবিন আংকেলকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হায়দারাবাদে গেছে।
একজন একজন করে সবাইকে চিঠির কথা জিজ্ঞাসা করলাম, কেউই চিঠির ব্যাপারে কিছু জানে না। এ-নিয়ে একপ্রকার ঝগড়া হয়ে গেল। একপর্যায়ে ওরা বলল,
"দেখ নিবিড়, আমাদের মধ্যে কেউ যদি করত তাহলে অনেক আগেই বলে দিতো। আমরা এমন চিঠি কেন পাঠাব বল তো? এতে আমাদের লাভটা কী? এরপরও যদি তোর বিশ্বাস নাহয় তাহলে আমাদের সাথে মেশা বাদ দিয়ে দে।"
বাসায় ফিরে আসলাম একরাশ চিন্তা নিয়ে। একবার মনে হচ্ছে, বন্ধুরা মিথ্যা বলছে, আবার মনে হচ্ছে- ওরা মিথ্যা কেন বলবে?
কলেজে পড়তে শ্রেয়া নামের একটা মেয়ের সাথে আমার প্রেম ছিল। কলেজ শেষ হবার আগেই তাঁর বিয়ে হয়ে গেছে, তাঁর জামাই তাকে কানাডা নিয়ে গেছে। শ্রেয়া এরকম করবে, এসব একেবারেই যুক্তিহীন। কেউ একজন নিজেকে আড়াল রেখে ফাজলামো করছে। এসব নিয়ে ভেবে ভেবে মাথা খারাপ করে কি লাভ?
সপ্তাহখানেক চলে গেল। গতকাল কাজিনরা বাসায় এসেছে। সকাল সকাল একসাথে বিয়ের কেনাকাটা করতে যাবো, রেডি হচ্ছি- এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠল। আম্মা আমাকে ডেকে বললেন- "কুরিয়ার থেকে লোক এসেছে, তোকে ছাড়া দেবে না।"
আমি ঘর থেকে বের হয়ে, রিসিভড পেপারে সাইন করে কুরিয়ারের প্যাকেট নিয়ে চুপচাপ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম। কুরিয়ার এসেছে তানিয়ার নামে। কুরিয়ারের প্যাকেট খুলে, ভেতরে একটা চিঠি আরেকটা ইনভেলাপ পেলাম।
চিঠিতে লেখা-
"তুমি কি সবকিছু ভুলে গেছ? অনেক দিন আগের কথা, ভুলে যেতেই পারো। তোমার আমার বেশকিছু স্পর্শকাতর ছবি আমার কাছে খুব যত্ন করে রাখা আছে। অতি শীঘ্রই তুমি যদি আমাকে ডিভোর্স না করো তাহলে ছবিগুলো তোমার হবু শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হবে।
বিঃদ্রঃ ইনভেলাপে তকীর কিছু ছবি দিলাম।
আমি ইনভেলাপ খুললাম, ইনভেলাপে পাঠানো হয়েছে, সুন্দর একটা বাচ্চা ছেলের দশটা ছবি। ছবিগুলো বিভিন্ন বয়সের।
চিঠি, ছবি ড্রয়ারে ঢুকিয়ে, কুরিয়ারের প্রেরক অংশে যেই ফোন নম্বর দেওয়া আছে, তাতে ফোন করলাম। ফোন নম্বর বন্ধ, ফোন নম্বরটা ফোনে সেভ করে, কাজিনদের নিয়ে শপিংমলে চলে গেলাম...
বর্তমানে আমরা ঢাকাতে থাকলেও স্কুল জীবন পর্যন্ত আমি বড় হয়েছি চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনায়। চন্দ্রঘোনার সবকিছু বিক্রি করে চলে আসলেও, জায়গাটার প্রতি মায়া কমেনি। বন্ধুগুলোকে খুব মনে পড়ে। ফোন, ফেসবুকে যোগাযোগ থাকলেও, দেখা-সাক্ষাৎ নাই অনেকদিন। বিয়েতে সবাইকে দাওয়াত করতে বিয়ের কার্ড নিয়ে চন্দ্রঘোনায় চলে গেলাম।
বিয়ের বাকি দেড় সপ্তাহ। বাবা আত্নীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি এখন ডেকোরেটর, বাবুর্চি নিয়ে ব্যস্ত।
লাইটিং বেশ আগে থেকেই করা হচ্ছে। বিকেলবেলা ডেকোরেটর থেকে লাইটিংয়ের লোকজন এসে লাইট লাগাতে শুরু করেছে। আব্বা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছুর তদারকি করছেন। ছাদের রেলিং ঘেঁষে আমি দাঁড়িয়ে আছি।
হঠাৎ অহনার বাবা ফোন করে আমাকে বললেন- দ্রুত তাদের বাসায় যেতে।
আমি সন্ধ্যার দিকে অহনার বাড়িতে গেলাম। অহনার মা এসে দরজা খুলে গম্ভীর মুখে আমার দিকে একবার তাকিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। অহনার বাবা, সোফায় বসেছিলেন, আমি দরজা দিয়ে ঢুকতেই তিনি আমাকে ডেকে বললেন-
"বিয়ে ক্যান্সেল।"
আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,
"মানে?"
--"ন্যাকা, মানে বোঝ না?"
অহনার বাবা, সোফা থেকে উঠে কুরিয়ারের একটা ব্যাগ আমার দিকে ছুড়ে মেরে বললেন-
"বাসায় গিয়ে দেখ গিয়ে। লম্পট কোথাকার!"
...
#
0 Comments
💬✨ মন্তব্য করার নিয়মাবলী ✨💬
🙏😊 দয়া করে ভদ্র ভাষায় মন্তব্য করুন।
🚫❌ অপ্রাসঙ্গিক বা স্প্যাম মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
💡💖 আপনার মতামত আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান।
📚✍️ গল্প নিয়ে আপনার চিন্তা, অনুভূতি বা প্রস্তাব লিখে জানাতে পারেন।
🌟🌍 চলুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করি।
ধন্যবাদ! 💝🌸🎉