###ভয়ংকর ছায়া

### পর্বঃ ১

### জুনায়েত


মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে খেয়াল করলাম আমার স্ত্রী নীলা বাড়ির পাশে কবরস্থান এর দিকে যাচ্ছে!!!!আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম!!! প্রতিদিন ওই একই ঘটনা ঘটছে!!! মধ্য রাতে ঘুম থেকে  উঠে একদিন ও আমার স্ত্রী নীলাকে বিছানায় পায় না!!! আমি নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি প্রতিদিন মধ্যরাতে কোথায় যাও!! কিন্তু নীলা জানালো কই নাতো সে কোথাও যাই না!!!

!!!

!!!

!!!

কিন্তু আমার খুবই সন্দেহ হলো!!! আমি মনে মনে ভাবছি একটা না একটা ঘটনা নিশ্চয়ই আছে এখানে!!!কয়েকদিন ধরে নীলার আচার-আচরণ ও বদলে গেছে!! ও কেমন জানি উগ্র মেজাজের হয়ে উঠছে দিন দিন!!!! খুব অল্প কথায় রেগে যায়!! আর কথায় কথায় আমার দিকে রেগে তাকাই!!! নীলার   এই কয়েকদিনের ব্যাবহার আমাকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে!!!

!!!

!!!

!!!

সেদিন বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো!!  আমি খেয়াল করলাম নীলা জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে!!!  আর খেয়াল করলাম নীলা একধারে বাইরের ওই কবরস্থানের দিকে তাকিয়ে আছে!!! আমি নীলাকে পিছন  থেকে  ডাকলাম!!! নীলা আমার দিকে তাকালো!!! কিন্তু অবাক করার মতো কথা কী জানেন???  নীলার চোখ গুলো একদম লাল টুকটুকে ছিলো!!! আমি নীলার চোখ গুলো দেখে খুব ভয় পেলাম!!

!!!!

!!!!

!!!!

আমি জোরে নীলাকে ধাক্কা দিয়ে ডাকলাম!!! তখন নীলার হুঁশ হলো!!! তৎক্ষনাৎ নীলার চোখ গুলো আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেলো!!! আমি নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে একা একা দাঁড়িয়ে কী করছো??? নীলা বললো কী জানি ওর কেন জানি ওই কবরস্থানের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে!!!

!!!

!!!

!!!

আমি অবাক হলাম নীলার কথা শুনে!!! কী বলছে নীলা???? কবরস্থানের দিকে কারো তাকিয়ে থাকতে ভাল লাগে নাকি???আমার মনে হচ্ছে নীলা একটু মানসিক রোগে ভোগছে!! তাই ভাবলাম নীলাকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে যাবো!!!আমি নীলাকে বললাম সামনের সপ্তাহে আমরা দুজনে মিলে ডাক্তার এর কাছে যবো!!! নীলা আমাকে জিজ্ঞেস করলো কেন?? আমি বললাম এমনি দরকার আছে!!!!

!!!!

!!!

!!!!

আজ বাইরে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হচ্ছিলো!!! আর মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ ও চমকাচ্ছিলো!!! বাইরের দৃশ্যটা খুব ভয়ংকর ছিলো!!! আজ ও আমার স্ত্রী নীলার সাথে একই ঘটনা ঘটলো!!! মধ্যরাতে আমার স্ত্রী নীলা ঘুম থেকে উঠে পড়লো!!! আর উঠেই হাটতে থাকলো!! আমিও  জেগেই ছিলাম!!! মনে মনে ভাবলাম আজ দেখবো মধ্যরাতে নীলা প্রতিদিন কোথায় যায়!!!??

!!!

!!!

!!!

নীলা ঘুম থেকে উঠে হাটতে থাকলো প্রথমে ঘরের দরজা খুললো!!! তারপর সদর দরজা খুললো!!!আমি অবাক হলাম এতো রাতে নীলা বাইরে কী করতে যাচ্ছে??? বাইরে খুব জোরে বাতাস বয় ছিলো!!! আর খুব বৃষ্টি ও হচ্ছিলো!!মাজে মাঝে বিদ্যুৎ ও চমকাচ্ছিলো!! কিন্তু আশ্চর্য কথা যে নীলা একটু বৃষ্টি হলেই ভয় পায় আজ সেই নীলা ঝড়ের মধ্যে বাইরে যাচ্ছে!!!

!!!

!!!

!!! 

আমি ওর সাথে সাথেই বাইরে এলাম!!! নীলা সোজা কবরস্থানের দিকে যাচ্ছিলো!!! আমি খুব ভয় পেলাম!!! নীলা কবরস্থানে ঢুকেই কবরাস্হানের একে বারে শেষের দিকে একটা পুরনো কবরের পাশে চলে গেলো!!

!!!

!!!

চলবে!!!

পর্ব ২

ওই কবরের পাশে বসে আমার স্ত্রী নীলাকে আমি কাদঁতে দেখলাম!! আমি পিছন থেকে গিয়ে ডাকলাম!!! নীলা নীলা!! নীলা আমার দিকে তাকলো!!! তাকাতেই আমি যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না!!! আমি দেখলাম নীলার চোখ দুটো লাল টুকটুকো!!! আর মুখটা কী বিশ্রি দেখতে!! নীলার দাত গুলো সম্পূর্ন কালো ছিলো!!!

!!!

!!!

আর বেশ লাম্বা লাম্বা ও ছিলো!! নীলার নখ গুলো কী উদ্ভুদ ছিলো!!! নীলা ওর হাতের নখ গুলোর দ্বারা কবরের মাটি সরাতে থাকলো!!! আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম!! আমি নীলার পিঠে হাত দিলাম!!আর জিজ্ঞেস করলাম কী করছোা এই সব??? নীলা রেগে আমার দিকে তাকালো!! তার পরে কি হয়েছিলো আমার আর মনে নেই!!!


!!!

!!!

আমার জ্ঞান ফিরলে আমি নিজেকে আমার রোমের বিছানায় আবিষ্কার করলাম!!আমি নীলাকে ডাকলাম আর জিজ্ঞেস করলাম কাল রাতে তুমি কবরস্থানে গিয়ে ছিলে কেন??? নীলা বললো কবরস্থানে???  আমি কবরস্থানে যেতে যাবো কেন??মনে হয় ঘুমের মধ্যে কোন বাজে সপ্ন দেখেছো!!! আমি একটু না অনেকটাই অবাক হলাম!!

!!!

!!!

তার মানে এটা সপ্ন ছিলো!!! কিন্তু আমার তা বিশ্বাস হচ্ছিলো না!! এত বড় ভুল আমার কোন দিন ও হতে পারে না!! এটা সপ্ন কী করে হতে পারে!!!? আমি আমার নিজের চোখে নীলাকে কবরস্থানে দেখিছি!!  তাহলে কী ভাবে এটাকে সপ্ন বলে মেনে নিই!!নীলার প্রতি আমার সন্দেহ আরো বাড়তে থাকলো!!! ঠিক দুপুর বেলা আমি কবরস্থানে গেলাম!! যে এটা আদোও সপ্ন ছিলো কী না দেখতে??

!!!

!!!

আমি কবরস্থানে ঢুকেই শেষের ওই কবরটার দিকে এগিয়ে গেলাম!!! যেখানে কাল নীলাকে বসে থাকতে দেখেছি!!! আমি ওই কবরের পাশে গিয়ে দেখলাম কবরটার উপরে কারো বড় বড় নখের দাগ পরে আছে!!! দেখে যেন মনে হচ্ছে কেউ বড় বড় নখ দিয়ে আঁচড়েছে!! আমি ওই দাগ গুলো দেখে ভয় পেয়ে গেলাম!! আমার গলা শুকিয়ে আসতে থাকলো!!

!!!

!!!

!!!

আমি নিচু হয়ে দাগ গুলো দেখছিলাম!!!ঠিক হঠাৎ কেউ একজন আমার পিঠে হাত দিলো!! আমি চমকে উঠলাম!! আর ভয় ও পেলাম!! ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি পাহারা দার!!! আমি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম!!!  কবরস্থানের পাহারাদার আমাকে বললো স্যার আপনি এই ভর দুপুর বেলা কবরস্থানে কী করছেন??? আরো বললো আপনি এই কবরের পাশে ই বাবা কেন??

!!!

!!! 

আমি কিছু বলছি না!!! পাহারাদার আমাকে বললো এই কবরের পাশ থেকে চলে যান!! নয়তো বিপদে পরবেন!! আমি বললাম কেন?? ও বললো এটাকে অভিশপ্ত কবরস্থান বলা হয়!! এই কবরের আশে পাশে কেউ আসে না!! আমি যে এই কবরস্থানের পাশে 

দাড়িয়ে কথা বলছিলাম সেটা নীলা জানালা দিয়ে দেখছিলো!!! আসলে আমার ঘর থেকে কবরস্থান টা সম্পুর্ন দেখা যায়!!!

!!!

!!!

!!!

পরের দিন সকাল বেলা সবার চেঁচামেচি তে আমার ঘুম ভাঙ্গলো!!!  বাইরে এসে শুনি কবরস্থানে কারো লাশ পরে আছে!! আমি দৌড়ে গেলাম!!! আর গিয়ে অবাক হলাম!!! এটাতো ওই পাহারাদারের লাশ যার সাথে আমি কালকে কথা বললাম!! আমি খেয়াল করলাম ওর সমস্ত শরীরে কারো বড় বড় নখের দাগ!!!



!!!

!!! 

চলবে!!!

!!!

 ### ভয়ংকর ছায়া


### পর্বঃ 03


### জুনায়েত




পাহারাদার এর লাশটা দেখে আমি খুব ভয়ে পেয়ে গেলাম!!!আমি খোয়াল করলাম পাহারাদার এর সমস্ত শরীরে কারো দখের দাগ!!! কেউ যেন নখ দিয়ে আঁচড়েছে!!! আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম এটা দেখে যে পাহারাদার এর মুখটা বেঁকে ছিলো!!!দেখে মনে হচ্ছে ঘাড়টা কেউ মটকে দিয়েছে!!! আমার কেন জানিনা মনে হচ্ছে এই মৃত্যুটা রহস্য জনক!!


!!!


!!!


!!!


কালকে আমি ওর সাথে কথা বললাম আর আজ ই ওকে মেরে ফেলা হয়েছে!!! আমার একটা কথা বার বার খুবই মনে পরছে!!! কাল পাহারাদার এর সাথে কথা বলার সময় নীলা আমাদের দেখে ছিলো!!! তার মানে এই লোকটাকে কী নীলাই মেরেছে??? ইস আমি আর ভাবতে পারছি না!! নীলা এসব কখন করলো!!!


!!!


!!!


!!!


সেদিন কেউ পাহারাদার এর লাশের কাছে যেত চাইছিলো না!! অবশেষে আমাকেই যেতে হলো!! পাহারাদার এর লাশটা দাফন করতে!!! আমি সকল কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে এলাম!!! কিন্তু আজ বাড়িতে আমার খুব ভয় হচ্ছে!!!! আসলে পাহারাদার এর এই রহস্য জনক মৃত্যু আমাকে ভয় পেতে বাধ্য করেছে!!!!আমি বাড়ি এসে রোমে চলে গেলাম!!


!!!


!!!


!!!


রোমে গিয়ে দেখলাম নীলা সেই জানালার পাশে দাড়িয়ে ওই কবরের দিকে তাকিয়ে আছে!!! আমি নীলাকে ডাকলাম!!! নীলার আমার দিকে তাকলো আর বললো ও তুমি এসে গেছো!! দাঁড়াও আমি তুমার খাবার দিচ্ছি!!!! আমি ভাবছি নীলাকে তো এখন স্বাভাবিক লাগছে!!! তাহলে পাহারাদার কে মারলো টা কে???? আমি নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম নীলা কাল রাতে কী তুমি কবরস্থানে গিয়ে ছিলে???


!!!


!!!


!!! 


নীলা রেগে বললো কবরস্থানে কেন যেব আমি!! আর তুমি প্রতিদিন কবরস্থান এর কথা বলো কেন??? আমি বললাম না কিছু না এমনি জিজ্ঞেস করলাম!! নীলা আমার জন্য খাবার নিয়ে আসলো!!! আমি খাবার খাচ্ছিলাম আর নীলার দিকো তাকাচ্ছিলাম!!! আর ভাব ছিলাম


এই মায়াবী চেহারার মেয়েটা কাউকে কী করে মারতে পারে??? আমি আর কিছু বললাম না!!! খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরলাম!!




!!!


!!!


!!!


খুব সকালে আমার ঘুম ভেঙে গেলো!! আমি চোখ খুলে দেখলাম নীলা আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে!!!! আজ অনেকদিন হলো নীলাকে জড়িয়ে ধরা হয় না!!! তাই আমি বিছানা থেকে উঠে নীলার দিকে এগিয়ে গেলাম ওকে জড়িয়ে ধরতে!!! আমি নীলার পিছনে দাড়িয়ে ছিলাম!! আয়নায় আমার চোখ পরতেই আমি একটা চিৎকার দিয়ে উঠলাম!!! 




আয়নায় নীলার চেহারাটা কী ভয়ানক দেখাচ্ছিলো!! ওকে পুরো ডাইনির মতো লাগছিলো!!! লম্বা লম্বা চুল!! বড় নখ আর বিশ্রি মুখ!!! দেখে মনে হচ্ছে মুখটা আগুনে জ্বলসে গেছে!!! নীলা আমাকে বললো কী হয়েছে চিৎকার দিলে কেন?? আমি বললাম আয়নায় তুমাকে???? নীলা বললো কই আয়নায় ত কিছুই নেই!! আমি চোখ খুলে দেখলাম আয়নায় কিছুই নেই!! দিব্বি নীলার মায়াবি মুখটাই দেখাচ্ছে!!!


!!!


!!!


!!! 


নীলা বললো তুমার মনে হয় মানসিক রোগ হয়েছে!!! আমি বুঝতে পারছি না এটা কী করে হতে পারে??? আমি ত নিজের চোখে দেখলাম!!! আমার মাথা কাজ করছে না!!!কিছুদিন পরের কথা অফিসের একটা কাজে আমাকে বাইরে যেতে হতো!!! কিন্তু নীলাকে এমন অবস্থায় একা একা রেগে কী করে যায়!!!


!!!


!!!


আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো!!! আমাদের বাড়িতে একটা মেয়ে কাজ করতো আমি ওকে বললাম আমি তিন দিনের জন্য বাইরে যাবো!!! তুই এই তিন দিন তুর ভাবির সাথে থাকবি!!!মেয়েটা থাকতে রাজি হলো!!! আমি বাড়ি থেকে চলে আসলাম!!! তিন দিন পর আমি বাড়ি ফিরলাম!!! বাড়ি ফিরে আমি যা দেখলাম তা দেখে আমার শরীর হিম হয়ে গেলো!!! আর সমস্ত শরীর কাপতে থাকলো!!


!!!


!!!


  ### ভয়ংকর ছায়া

### পর্বঃ ০৪

### জুনায়েত 


আমি বাড়িতে ঢুকাতেই যা দেখলাম তা দেখার পর আমার সমস্ত শরীর হিম হয়ে গেলো!!! আর শরীর কাঁপতে থাকলো!!! আমি গিয়ে দেখতে পেলাম যে মেয়েটাকে বাড়িতে নীলাকে দেখা শুনা করার জন্য রেখে গিয়ে ছিলাম সেই মেয়েটা মেঝেতে পরে আছে!! আর চারদিকে ঘরের জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে!!! আমার ভয় হলো এটা ভেবে যে মেয়েটা না মারা যায়!!!

!!!

!!!

!!! 

মেয়েটা যদি মারা যাই তাহলে আমি বিপদে পরে যাবো!! কারন দূর্ঘটনাটা আমার বাড়িতেই ঘটেছে!!! আমি মেঝেতে পরে থাকা মেয়েটার কাছে গেলাম!!! আর গিয়ে দেখলাম ও এখনো বেঁচে আছে!!! আমি তারা তারি এম্বুলেন্স এ ফোন করলাম!!! মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে আমি নীলাকে ডাকছিলাম!!! কিন্তু নীলাকে পাচ্ছিলাম না!!!

!!!

!!!

!!! 

আমি আমাদের রোমে গেলাম!! গিয়ে দেখলাম নীলা এখনো পর্যন্ত ঘুমচ্ছে!!!! আমি গিয়ে রেগে নীলাকে ডাকতে থাকলাম!!! নীলা এই নীলা এখনো পর্যন্ত তুমাকে ঘুমতে হচ্ছে!!!? নীলা উঠলো আর আমাকে দেখে বললো ও তুমি এসে গেছো!!!?? কখন এলে গো!!! আমি বললাম এসব নেকামো ছাড়ো!! নীলা বললো কী হয়েছে?? 

!!

!!

!!

তুমি আমার সাথে এই ভাবে কথা বলছো কেন?? কী করেছি আমি??? আমি বললাম কী করেছো তুমি?? আমি রাগের মাথায় নীলাকে একটা চড় মেরে জিজ্ঞেস করলাম আমাদের কাজের মেয়েটা কোথায়!!নীলা বললো কেন?? আমি বললাম এমনি!!! নীলা আমাকে জানালো কাজের মেয়েটা তো গেস্ট রোমে শুয়ে আছে!! আমি নীলাকে নিয়ে গেস্ট রোমে গেলাম!!

!!!

!!!

!!!

আমি নীলাকে গেস্ট রোমে নিয়ে বললাম কোথায় মেয়েটা!!!নীলা বললো তুমি বিশ্বাস করো রাতে ও এখানেই শুয়ে ছিলো!!! আমি বললাম ও এখানে না এখন হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে!!! নীলা বললো মানে?? আমি বললাম আমি সকালে বাড়ি এসে দেখি মেয়েটা মেঝেতে পরে আছে!!! ওর শারা শরীরে আঘাত এর চিন্হ!! বাড়িতে এতো বড় একটা কান্ড হয়ে গেলো আর তুমি কিছুই জান না???

!!!

!!!

!!!

নীলা বললো ও ঘুমিয়ে ছিলো!! তাই ও কিছু বলতে পারবে না!!! ঠিক সেই সময় হাসপাতাল থেকে ফোন এলো!!! আর ডাক্তার জানালো মেয়েটার অবস্থা একটু ভাল!!! তারা তারি আমাকে হাসপাতালে যেতে বললো!!! আমি আর কিছু না ভেবেই তারা তারি হাসপাতালে চলে গেলাম!!! আর ডাক্তার আমাকে জানালো মেয়েটা এখন সম্পূর্ন সুস্থ!!! আমি একটু চিন্তা মুক্ত হলাম!!

!!!

!!!

!!!

আমি ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে কী না??? ডাক্তার জানালো হ্যা ফিরেছে!!! আমি মেয়েটার কাছে গেলাম!!! আর বললাম কী হয়েছিলো তুমার সাথে??? মেয়েটা জানালো সে গেস্ট রোমে শুয়ে ছিলো!! হঠাৎ ঘরের লাইটটা নিভে গেলো!!! আর কোন একটা ছায়া ওর উপর ঝাপিয়ে পরলো!!! এই দেখুন ওর বড় বড় নখ আমার শরীর কি করেছে!! আমি দেখলাম ওর সমস্ত শরীরে কারো নখের দাগ!!!

!!!

!!!

!!! যেমনটা ঐই পাহাদার এর লাশের শরীরে ছিলো!!! তার মানে এখানে নীলার কোন দোষ ছিলো না!!! ও সত্যি কথা বলেছিলো!!! ওকে মারাটা আমার উচিত হয়নি!!! তাই আমি বাড়ি ফিরে এলাম আর ভাবলাম নীলাকে সরি বলবো!!! আমি বাড়িতে ঢুকে দেখলাম ঘরের সমস্ত লাইট নেভানো!! আমি ভাবলাম নীলা আমার সাথে রাগ করে সব নিভিয়ে বসে আছে হয়তো!!!

!!!

!!!

!!! 

আমি আমাদের রোমে ডুকলাম!!! যদিও লাইট ছিলো না!!! তবে চাঁদের আলোতে ঘরের সব কিছু দেখা যাচ্ছিলো!!! আমি দেখলাম নীলা ওই জানালার পাশে দাড়িয়ে কবরস্থানে র দিকে তাকিয়ে আছে!!! আমি পিছন থেকে বললাম নীলা আমি দুঃখিত!!! তুমাকে মারা আমার উচিত হয়নি!!! তৎক্ষনাৎ নীলা আমার গলা চেপে ধরলো!!! আর বললো তুই আমার গায়ে হাত তুলেছিস!!?? তুর এতো বড় সাহস!!!! তুই জানিস আমি কে????


চলবে!!!!

!!

!!

কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন!!!🤗



!!!


!!

!


!!! 


কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন!!! 

!!